ইন্টারনেট নিয়ে কিছু কথা, A few words about the Internet.

 

 A few words about the Internet


ইন্টারনেট কি? What is internet.

"ইন্টারনেট" শব্দের পূর্ণ রূপ হল "ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক" যা "আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক" এর সংক্ষেপণ। ইন্টারনেট হল একটি বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন সাধারণ প্রোটোকল ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক স্থানে কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংচলন, প্রকাশন, করে থাকে। ইন্টারনেট হলো একটি বিশ্বব্যাপী সংযোগ যা বিভিন্ন কম্পিউটার, সার্ভার, রাউটার ও অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি একটি বিশাল নেটওয়ার্ক, যেখানে বিভিন্ন তথ্য, তথ্যসূত্র, ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন, ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ফাইল, মিডিয়া, এন্টারটেনমেন্ট, বাণিজ্যিক, শিক্ষা, সেবা, সুরক্ষা, আর্থিক লেনদেন ইত্যাদির মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন  তৈরি হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষেরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করে থাকে এবং বিভিন্ন  তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে ও তথ্য শেয়ার করতে পারে, বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করতে পারে।

ইন্টারনেট আবিস্কার হয় কত সালে? In what year was the internet invented?

ইন্টারনেটের আবিষ্কার হয় ১৯৬৯ সালে।

 A few words about the Internet


ইন্টারনেটের মাধ্যমে কি কি কাজ করা যায়? What can be done through the Internet?

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক কাজ করা যায়। কিছু প্রধান কাজগুলো নিম্নরূপ:

১. ই-মেইলঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইমেইল পাঠানো যায়। ইমেইল ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য, ফাইল, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারেন।

২. ওয়েব সার্ভিসঃ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি, হোস্ট, এবং পরিচালনা করা যায়। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি প্রোডাক্ট, সেবা, তথ্য ইত্যাদি প্রদান করতে পারেন।

৩. সামাজিক যোগাযোগঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন, অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে মেসেজ পাঠাতে, ফলো/আনফলো করতে, পোস্ট করতে, কমেন্ট করতে ইত্যাদি।

৪. অনলাইন শিক্ষাঃ ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষা নিতে পারেন। অনলাইন কোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ওয়েবিনার, ব্লগ, ই-বুক ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারেন।

৫. অনলাইন ব্যাবসাঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রতিষ্ঠান, শপ, ব্র্যান্ড ইত্যাদির জন্য বাণিজ্যিক কাজ করতে পারেন। আপনি পণ্যক্রয়-বিক্রয়, সেবা প্রদান, মার্কেটিং, ডিজিটাল পেমেন্ট, বিলিং ইত্যাদি খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারেন।

৬. খোঁজ করাঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের খোঁজ করতে পারেন। আপনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ওয়েবপেজ, ব্লগ, ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি খোঁজার মাধ্যমে আপনার চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পেতে পারেন।

৭. বিনোদনঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি ভিডিও, অডিও, ছবি, গেম, মিউজিক, ফিল্ম, টিভি শো, পডকাস্ট, ই-বুক, নিউজ, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে বিনোদন দিতে পারেন।

৮. অনলাইন ব্যাংকিংঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারেন। আপনি অনলাইনে টাকা জমা/উত্তোলন, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, লোন, স্থায়ী/বৈদ্যুতিক বিল পরিশোধ, অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখতে পারেন।

৯. ইন্টারনেট কলিংঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে (ভিডিও/অডিও)  কল করতে পারেন। আপনি স্কাইপ, ফেসটাইম, ওয়্যাট্সঅ্যাপ, মেসেন্জার, ভাইবার, জিও-কল, গুগল-ডু, ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করে অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতে পারেন।

১০. অনলাইন সংগঠনঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অনলাইন সংগঠনের সদস্য হতে পারেন। আপনি অনলাইনে ভোটিং, সাবস্ক্রিপশন, সদস্যতা, জয়েনিং, ডোনেশন, পুরস্কার, প্রচার-প্রচার, আর্থিক/সাহায্যিক/পরামর্শিক সেবা, আর্টিকেল/ব্লগ/রিভিউ/রিপোর্ট/রেটিং/রিভিউ/ফিডব্যাক/কমেন্ট/শেয়ার ইত্যাদি করতে পারেন।


ইন্টারনেটের খারাপ দিকগুলি কি কি? What are the disadvantages of the Internet?

আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি তার ভালো দিকগুলির পাশাপাশি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে তাহার ভিতরে কিছু নমুনা  দিকগুলি নিম্নরূপ:

১. অপ্রাসঙ্গিক ও মিথ্যা তথ্যঃ  ইন্টারনেটে অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক ও মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায়। এর ফলে অনেকে ভুল তথ্যের ভিতরে পড়ে গিয়ে এবং ভুল নির্ণয় নিতে পারে।

২. অনুপযুক্ত/অপ্রাসঙ্গিক কন্টেন্টঃ  ইন্টারনেটে অনেক সময় অনুপযুক্ত/অপ্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট পাওয়া যায়। এর ফলে অনেকে অপ্রাসঙ্গিক/নিন্দাজনক/মানহানির কন্টেন্টের ভিতরে পড়ে এবং মারাত্মক/অপমানজনক কন্টেন্ট দেখে ভয় পায়।

৩. গোপনীয়তার সমস্যাঃ  ইন্টারনেটে গোপনীয়তার সমস্যা থাকে। অনেকের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে।

৪. অনুপযুক্ত/হিংস্র/বিদ্বেষপূর্ণ কন্টেন্টঃ  ইন্টারনেটে অনেক সময় অনুপযুক্ত/হিংস্র/বিদ্বেষপূর্ণ কন্টেন্ট পাওয়া যায়। এর ফলে অনেকের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।

৫. কার্যক্রমের নিরাপত্তাঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে কার্যক্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত না থাকলে আপনি হ্যাকিং, ফিশিং, ডেটা চুরি, অনুপযুক্ত/অপ্রাসঙ্গিক সাইবার ক্রাইম, ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, স্প্যাম, এবং অন্যান্য সাইবার আপত্তির শিকার হতে পারেন।

৬. সময় নষ্ট: ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেকের সময় নষ্ট হয়। এর ফলে অনেকের পড়াশোনা, কাজ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগের সময় কমে যায়।

৭. অভিযোগ/ফিডব্যাকের অভাবঃ  ইন্টারনেটে অনেক সময় অভিযোগ/ফিডব্যাকের অভাব দেখা যায় । যার ফলে অনেকে সময় বিভিন্ন ইন্টারনেজনিত সমস্যা সমাধান/পরামর্শ/উত্তর পাওয়া যায় না।

৮. সাইবার বুলিঃ  ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেকের হুমকি, আরোপ, বিদ্বেষ, অপমান, হিংসা, বাধ্যতামূলক/পরিপূর্ণ/নিন্দাজনক/নির্যাতন,   অপমানযনক  ইত্যাদি সাইবার বুলির শিকার হতে পারেন।

৯. স্বাস্থ্য সমস্যাঃ ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলে অনেকের চোখে, শরীরে, মানসিক ও শারিরিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে।

এ জন্য আমাদের দরকার যে বিনা করনবসত ইন্টারটেটে ঘাটাঘাটি না করা। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url