অ্যান্ড্রয়েড কি? What is Android?



অ্যান্ড্রয়েড একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা গুগল দ্বারা তৈরি এবং পরিচালিত হয়। 

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসে, যেমন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে। 

এই সিস্টেমের প্রধান লক্ষ্য হলো ব্যবহারকারীদের একটি সম্পূর্ণ মোবাইল অভিজ্ঞতা প্রদান করা, যেখানে তারা এপ্লিকেশন, উইজেট, এবং বিভিন্ন সেটিংস ব্যক্তিগতভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাস্টমাইজ করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন কল করা, মেসেজ পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজ করা, গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করা, এবং আরো অনেক কিছু।

অ্যান্ড্রয়েড একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা গুগল দ্বারা তৈরি এবং পরিচালিত হয়। নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে:

১.উৎস: অ্যান্ড্রয়েড প্রথম তৈরি হয় 2007 সালে এবং তার পর বার্তা প্রদান শুরু হয় 2008 সালে গুগলের দ্বারা।

২.ব্যবহারকারী ইন্টারফেস: অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি স্বপ্নময় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম প্রদান করে, যা উপযুক্ত স্ক্রিন টাচ, বাটন, এবং মাউস ইনপুটের সাথে মিলে কাজ করে।

৩. অ্যাপস: অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা যায়, যেগুলি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যেতে পারে। এই অ্যাপগুলি বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে, যেমন সম্প্রেষণ, মানচিত্র, গেম, ব্যবসায়িক সাহায্য, এবং আরো অনেক কিছু।

অ্যান্ড্রয়েড একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যাদের মোবাইল ডিভাইসে চলে আসে, তাদের সাথে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে:

১.ব্যবহারকারী স্বীকৃতি (User Permissions): অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ব্যবহারকারীগণ নির্দিষ্ট অ্যাপসে যে কোন সময় অ্যাক্সেস প্রদান করার জন্য অনুমতি দেয়।

২. মানচিত্র সেবা (Mapping Services): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যাপিং সেবা প্রদান করে, যা লোকের স্থান সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে এবং নেভিগেশনে সাহায্য করে।

৩. মাল্টিটাস্কিং (Multitasking): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যবহারকারীগণ একই সময়ে একাধিক অ্যাপ চালাতে পারেন এবং স্মৃতি পরিচালনা করতে পারেন।

৪. গুগল একাউন্টের সাথে সম্পৃক্ত (Google Integration): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সাথে গুগল একাউন্ট সংযোগ করতে দেয়, যা গুগল প্লে স্টোর, গুগল মেল, গুগল ক্যালেন্ডার, এবং আরও অনেক সেবাগুলির সাথে সম্পৃক্ত থাকে।

৫. স্থানীয় সংযোগ (Local Connectivity): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস স্থানীয় নেটওয়ার্ক, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, এবং NFC (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সংযোগ করতে পারে, যা আপনাকে অন্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ করতে সাহায্য করে।

 এই সিস্টেমটি আপনার স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে ব্যবহার করতে সাহায্য করে এবং এটি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের সাথে সাথে সম্প্রেষণ, খেলা, ব্যবসায়, শিক্ষা এবং আরও অনেক কাজে সাহায্য করে।

  • এন্ড্রোডের সুবিধা সমূহ? 

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের বেশ কিছু সুবিধা আছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে:

১. ব্যক্তিগতাবাদ (Customization): অ্যান্ড্রয়েডে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইস এবং ইন্টারফেস কাস্টমাইজ করতে পারেন, এটির মাধ্যমে উন্নত স্বপ্নময় অভিজ্ঞতা তৈরি করে ফেলতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনি হোম স্ক্রিন, ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারেন।

২.বেশিরভাগ অ্যাপস (Apps): গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি হাজারো অ্যাপস ডাউনলোড করতে পারেন, যা আপনার ডিভাইসে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতে পারে, যেমন সম্প্রেষণ, মনোরঞ্জন, শিক্ষা, ব্যবসায় এবং আরও অনেক কিছু।

৩. মাল্টিটাস্কিং (Multitasking): অ্যান্ড্রয়েডে আপনি একই সময়ে একাধিক অ্যাপ চালাতে পারেন এবং স্মৃতি পরিচালনা করতে পারেন, যেটি প্রাথমিক কাজে উপযুক্ত হতে পারে।

৪.অ্যান্ড্রয়েড সেন্সর (Android Sensors): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বেশ কিছু সেন্সর রয়েছে, যেগুলি আপনার ডিভাইসের ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করে, উদাহরণস্বরূপ গ্যাস্ট্রোস্কোপ, এক্সেলেরোমিটার, লাইট সেন্সর, এবং বরুমিটার সেন্সর ইত্যাদি।

৫. গুগল ইন্টিগ্রেশন (Google Integration): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সাথে গুগল একাউন্ট সংযোগ করে ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোর, গুগল মেল, গুগল ক্যালেন্ডার, গুগল ড্রাইভ, এবং অন্যান্য গুগল সেবাগুলির সাথে সম্পৃক্ত থাকে।

৬.ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (Personal Security): অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম ব্যবহারকারীদের ডাটা এবং ডিভাইসের নিরাপত্তা সুরক্ষা করতে সাহায্য করে, যা স্বতন্ত্র এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপসের সাথে সাথে সেন্সিটিভ ডেটা এনক্রিপ্ট করে রাখে।

৭. পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যার (Powerful Hardware): বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস শক্তিশালী প্রসেসর, বেশ বড় স্ক্রিন, বেশি স্মৃতি, এবং বেশি ব্যাটারি সাপোর্ট করে, যা ব্যবহারকারীদের এক্সপেরিয়েন্স ভালো করে।

৮. স্থানীয় সংযোগ (Local Connectivity): অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস অন্যান্য ডিভাইসের সাথে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, নিরাপত্তা, এবং NFC সংযোগ করতে সক্ষম, যা ফাইল সেন্ড করতে, নেটওয়ার্ক প্রিন্টার সাথে যোগাযোগ করতে, সংগ্রহ করতে, এবং অন্যান্য কাজে সাহায্য করে।

এই সুবিধা গুলি কার্যকরী মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডের একটি অংশ হিসেবে দেখা যায় এবং এই সিস্টেমটি মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের ব্যবহার সহজ এবং স্বপ্নময় করে তৈরি করেছে।


Next Post Previous Post
2 Comments
  • This is my Personal Blog
    This is my Personal Blog ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ এ ৬:৪৭ PM

    good post

    • Hm Monir Hossain
      Hm Monir Hossain ২২ অক্টোবর, ২০২৩ এ ১১:২৭ PM

      Thanks vii

Add Comment
comment url